কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আউশ মৌসুমের ধান চাষ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা সহায়তার জন্য ২ হাজার ১৫০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসনায়িক সার বিতরণ গত সোমবার ১৫ এপ্রিল উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষি অফিস চত্বরে এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনকালে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, জেলা পরিষদের সদস্য মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার, মিরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাঞ্চন কুমার ও উপসকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং প্রায় শতাধিক কৃষকগণ। উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলনে, কৃষির উন্নয়নের জন্য সবরকম প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নিকট যে কোন প্রযুক্তি ও আর্থিক সুবিধা আসলে যত দ্রুত সম্ভব কৃষদের মাঝে পৌছে দিয়ে থাকি। কৃষির যে কোন সমস্যা সমাধানে উপজেলা কৃষি অফিস ও উপসহকারি কৃষি অফিসারের নিকট যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি কৃষকদের আরো বলেন আউশ আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি করতে হবে কারন আউশ আবাদে কৃত্রিম সেচ কম দিতে হয় এজন্য আউশ আবাদে খরচ কম হয়। বর্তমান সময়ে পানির স্তর দিনদিন নেমে যাওয়ার যে প্রবনতা দেখাদিয়েছে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার বলেন, সরকারের সূদূর প্রসারী পরিকল্পনা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করার লক্ষে নানাবিধ কর্মসূচী বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সার, বীজ, কীটনাশক এবং সেচের সুষ্ঠু ব্যবহারে কৃষির উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। এ সরকারের দক্ষ এবং কৌশলী কৃষি নীতি গ্রহনের ফলে কৃষিতে অভূতপূর্ব সফলতা এসেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কৃষি আজ ঈর্শ্বনীয় অবস্থানে রয়েছে। তিনি আগত সকল কৃষককে যার যতটুকু জমি আছে তাতেই কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক উন্নত আবাদের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আহ্বান জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ বলেন,কৃষি আমাদের প্রধান জিবিকা এর গুরুত্ব অপরিসীম এই পেশাতে সবচেয়ে বেশি লোকের কর্মসংস্থান সেহেতু অতীতের কৃষি ছেড়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি চাষাবদ করার অনুরোধ জনান।
উল্লেখ্য এবছর আউশ মৌসুমে মিরপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ও পৌরসভার ২ হাজার ১শ ৫০জন কৃষক আউশ প্রণোদনা পাবেন। প্রতিজন কৃষক বিনামূল্যে ৫ কেজি উফশী আউশ ধান বীজ, ১৫ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন।